চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে দাপট দেখিয়ে জিতেছিলো ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় টেস্টে উল্টো দাপট দেখিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে স্বাগতিক ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে রীতিমতো ইংলিশদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছিলো কোহলিরা। তবে পুরো টেস্টে দুইদলের মাঝে পার্থক্য একাই গড়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বল হাতে পাঁচ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে হাঁকিয়েছিলেন শতক।
অশ্বিনের সামনে সুযোগ ছিলো এলিট ক্লাবে ডুকারও। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র পাঁচ উইকেট পেলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে শতক ও দশ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়তেন তিনি। তবে অল্পের জন্য সে কীর্তি গড়া হয়নি অশ্বিনের। তবে তাতে কি? এতটুকুও ম্লান হয়নি অশ্বিনের অর্জন।
আগের দিনে অপরাজিত থাকা ড্যান লরেন্সকে দিনের শুরুতেই ফেরান অশ্বিন। ৫৩ বলে ২৬ রানে বিদায় নেন তিনি। বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বেন স্টোকসের ইনিংসও। মাত্র ৮ রান করে অশ্বিনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন তিনি। ওলি পোপও বিদায় নেন দ্রুত। পোপের দেখানো পথেই হাঁটেন বেন ফোকসও। তখন জয়টা ভারতের কেবল সময়ের ব্যাপার ছিলো মাত্র।
অধিনায়ক জো রুট আশা জাগিয়েও খেলতে পারেনি বড় ইনিংস। প্যাটেলের শিকার হয়ে কাটা পড়েন ৩৩-এর ঘরে। তাতেই দলীয় একশো পার করতে ৮ উইকেট খুইয়ে বসে অতিথিরা। তবে শেষদিকে মঈন আলির দৃঢ়তায় দেড়শো পার করে ইংলিশরা। ৩ চার ও ৫ ছক্কায় মঈনের ১৮ বলে ঝড়ো ৪৩ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা জমা করে ১৬৪ রান, ফলে ৩১৭ রানের জয় পায় ভারত। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ১-১ এ সমতায়। ভারতের পক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা অক্ষর প্যাটেল শিকার করেন ৫ উইকেট। অশ্বিনের শিকার ৩ ও কুলদিপের শিকার ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ৩২৯/১০ (প্রথম ইনিংস)
রোহিত ১৬১, রাহানে ৬৭;
মঈন ৪/১২৮, স্টোন ৩/৪৭।
ইংল্যান্ড ১৩৪/১০ (প্রথম ইনিংস)
ফোকস ৪২, পোপ ২২;
অশ্বিন ৫/৪৩, ইশান্ত ২/২২।
ভারত ২৮৬/১০(দ্বিতীয় ইনিংস)
অশ্বিন ১০৬, কোহলি ৬২;
মঈন ৪/৯৮, লিচ ৪/১০০।
ইংল্যান্ড ১৬৪/১০ (দ্বিতীয় ইনিংস)
মঈন ৪৩, রুট ৩৩;
প্যাটেল ৫/৬০, অশ্বিন ৩/৫৩।
ফলাফল: ভারত ৩১৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: সিরিজে ১-১ এ সমতায়।
ম্যাচসেরা: রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
-নট আউট/টিএ